[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এমপি আনার হত্যা: এবার ভারতে কসাই গ্রেপ্তার

মর্নিং টাইমস ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৪, ১৩:৩৭

ছবি : মর্নিং টাইমস

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এবার জিহাদ হাওলাদার নামের এক কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সিআইডি। গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে আনারের দেহাবশেষ উদ্ধারে জিহাদকে নিয়ে কলকাতা-সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।

এর আগে বুধবার (২২ মে) এমপি আনারের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। একদিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গর থানার জিরেনগাছা ব্রিজ এলাকায় দেহের বাকি অংশ উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছে ভারতের সিআইডি। মোট ছয়টি গাড়িতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে তল্লাশি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিআইডির কর্মকর্তারাও। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং পেশায় তিনি কসাই। অবৈধভাবে মুম্বাইয়ে বাস করতেন তিনি। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। জিহাদ হাওলাদারকে বারাসত আদালতে তোলা হবে। হত্যাকাণ্ডের তথ্যের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জিহাদকে হেফাজতে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এমপি আনারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।পরে তার শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির শরীরের মাংস আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়।। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বলছে, গত ১২ মে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। এর অন্তত ১০ দিন আগেই কলকাতায় অবস্থান করেন অভিযুক্তরা। ছিলেন ধর্মতলার কাছে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের নথি অনুযায়ী, ২ মে থেকে সেখানে থাকছিলেন ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর নামে দুই ব্যক্তি। পরে মুস্তাফিজুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারতীয় তদন্তকারীদের ধারণা, আনারকে হত্যা করার পরিকল্পনা অনেক পুরোনো। আর সেজন্য অনেকদিন আগেই কলকাতায় যান ফয়সাল এবং মুস্তাফিজুর। কাজ মিটে গেলে হোটেল ছেড়ে দেন তারা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর