প্রকাশিত:
২৩ মে ২০২৪, ২০:২০
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ভারতীয় পুলিশের একটি দল ঢাকায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছান।
তিনি জানান, ভারতীয় পুলিশের প্রতিনিধি দলটি ঢাকার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এমপি আনার খুনের বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার তিনজনের সঙ্গেও তারা কথা বলবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে যারা হত্যা করেছে তাদেরসহ সবকিছু প্রায় চিহ্নিত করেছে দুই দেশের গোয়েন্দারা। তারা একমত হলে ঘোষণাটা দেব।
মন্ত্রী বলেন, শুধু এতটুকু বলতে পারি আমাদের সবকিছু প্রায় চিহ্নিত হয়েছে। যারা হত্যা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে আমরা প্রায় কাছাকাছি এসে গেছি, এখন শুধু ঘোষণার বাকি। দুই দেশের গোয়েন্দারা একমত হলে আমরা ঘোষণাটা দেব।
এ ছাড়া ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ভারতের কলকাতায় এক বাসায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর শরীর খণ্ড খণ্ড করা হয়। এরপর হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে সেগুলো ব্যাগে ভরে বের করা হয় ওই বাসা থেকে। তবে কোথায় মরদেহের টুকরোগুলো ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ডিবিপ্রধান বলেন, দুই থেকে তিন মাস আগেই এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তারা পরিকল্পনা করেছিলেন ঢাকায় হত্যা করবেন। তিনি জানান, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানের দুই বাসার মধ্যে একটি গুলশানে, অন্যটি বসুন্ধরায়। এ দুই বাসায়ই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে তার পূর্বপরিচিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর আজীম আর বাসায় না ফেরায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস।
বুধবার (২২ মে) জানা যায়, কলকাতার নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। তবে সেখানে তার মরদেহ মেলেনি।
মন্তব্য করুন: