[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলেন আনারের মেয়ে

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
২২ মে ২০২৪, ২৩:০৪

ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস। বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন তিনি। মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রোবায়েত জামান। মামলাটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৯ মে রাত আটটার দিকে আনোয়ারুল আজিম রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। দুদিন পর ১১ মে মুমতারিন তার বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। তাতে তার বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন বলে মনে হয়। এরপর মুমতারিন তার বাবার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পান। এরপর ১৪ মে ভারতের মুঠোফোন নম্বর থেকে তার এক স্বজনের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি খুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সাথে ভিআইপি আছে। আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দিব।’ এই খুদে বার্তা ছাড়াও ভারতের ওই মুঠোফোন নম্বর থেকে আরও কয়েকটি খুদে বার্তা আসে তাদের মুঠোফোন নম্বরে। এই খুদে বার্তাগুলো অপহরণকারীরা তারা বাবার মুঠোফোন ব্যবহার করে দিয়ে থাকতে পারে।

মামলায় মুমতারিন উল্লেখ করেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় তার বাবাকে খোঁজ করতে থাকেন। সন্ধান না পেয়ে ভারতে অবস্থানরত তাঁর বাবার বন্ধু শ্রী গোপাল বিশ্বাস ভারতের বরানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরও বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে অপহরণ করেছে।

জানা যায়, ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতে গিয়ে আনোয়ারুল আজীম কলকাতায় তাঁর পূর্বপরিচিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। গোপালের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হন। তখন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর আর বাসায় না ফেরার কারণে ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর