প্রকাশিত:
২২ মে ২০২৪, ২০:৫৪
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (২২ মে) আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ভারতের উপকূলজুড়ে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চলছে সতর্কতা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে ঝড়-বৃষ্টি চলছেই। এই পরিস্থিতিতে ভারতের আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, এরইমধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি পরিস্থিতি। যা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অবস্থান করছে। ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার থেকে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শুক্রবার সকালের মধ্যেই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তা থেকে অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপে পরিণত হতে পারে কি না বা কোন পথে সাইক্লোন অগ্রসর হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা থাকছে।
আবহবিদদের ধারণা, যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তবে তা বাংলাদেশের বরিশালে ল্যান্ডফল হতে পারে। মনে করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে এর ততটা প্রভাব নাও পড়তে পারে। যদিও সবটাই সম্ভাবনা। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। আপাতত সিস্টেমটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের মতে, নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটির দিক ও গতিও পরিবর্তন হতে পারে। এই সিস্টেমের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই মনে করছেন আবহবিদদের অধিকাংশ। যদি ঘূর্ণিঝড় জন্ম নেয় তাহলে গ্লোবাল বে অফ বেঙ্গল মডেল অনুয়ায়ী এর নামকরণ হবে রিমেল। নামটি ওমানের দেওয়া।
এর জেরে শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে শুরু করবে। বাড়তে থাকবে ঢেউয়ের উচ্চতা। সমুদ্রে জারি হয়েছে সতর্কতা। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার জন্য বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
মন্তব্য করুন: