[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘গোল্ডেন এ প্লাস’ পেলেন জমজ বোন

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
১২ মে ২০২৪, ১৮:৪৪

ছবি : সংগৃহীত

ওয়ালিয়া নাওয়া ও ওয়াজিয়া নাওয়া জমজ বোন। তারা রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুজনেই এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় ‘গোল্ডেন এ প্লাস’ পেয়েছেন।

রোববার (১২ মে) এ দুই বোন নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রত্যাশিত ফল জানার পর আনন্দে মেতে উঠেন। খানিক দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েদের এ আনন্দ-উল্লাসের ছবি তুলছিলেন মা শান্তা হোসাইন। জমজ মেয়েদের গোল্ডেন এ প্লাস প্রাপ্তিতে খুশিতে আত্মহারা তিনিও।

শান্তা হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ওরা যেদিন ভিকারুননিসাতে চান্স পেয়েছিল সেদিন যে খুশি লেগেছে আজও একই আনন্দ অনুভব করছি। ওরা ওদের পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। সত্যি কথা বলতে, পড়াশোনার জন্য ওদের কখনো জোর করতে হয়নি। ওদের কাজ ওরাই করেছে। আমি শুধু পাশে থেকেছি। এটি ওদের শুরু মাত্র। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে হবে। আরও বড় বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

এসময় ওয়াজিয়া নাওয়া বলেন, এটি আসলে অন্যতম বড় প্রাপ্তি। মা অনেক কষ্ট করেছেন, এটি মায়ের জন্য উপহার। এছাড়াও ভালো ফলাফলের পেছনে আমার বাবা ও শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। তবে বিশেষভাবে বলতে গেলে আমাদের বড় ভাই সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

‘ভাইয়া গত বছর মারা গেছেন। তিনি এসএসসিতে ভালো ফলাফলের জন্য সবসময় পরামর্শ দিতেন। ভাইয়া মারা যাওয়ার পর তার কথা আমাদের দু-বোনের মাথায় গেঁথে যায়। আমরা সবসময় চেয়েছি যেন ভাইয়ার ইচ্ছাটুকু পূরণ করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সেটা পেরেছি’- বলেন ওয়াজিয়া নাওয়া।

বাসায় দু-বোনের পড়াশোনা নিয়ে অন্য বোন ওয়ালিয়া নাওয়া বলেন, আমরা দুজনই প্রতিযোগিতার মন-মানসিকতা নিয়ে পড়ালেখা করেছি। আমি ভোরে ওর চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি পড়াশোনা করলে সে রাতে আমার চেয়ে এক ঘণ্টা বেশি পড়তো। যে কোনো পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া নিয়েও আমাদের মধ্যে কম্পিটিশন হতো। এভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। সবসময় আমরা একজন অন্যজনকে বিট করতে চাইতাম। আবার পরীক্ষা হলে মনে করতাম দুজন দুজনের পাশে আছি।

ভবিষ্যতে নিজেদের কোন পর্যায়ে দেখতে চান- জানতে চাইলে ওয়ালিয়া বলেন, আমি মনে করি জীবনে ভালো মানুষ হওয়া এবং সব দিক থেকে ভালো হওয়ার চেষ্টা করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। সবার আগে ভালো মানুষ হতে চাই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর