[email protected] রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাংবাদিককে আওয়ামী লীগ নেতার হত্যার হুমকি, আদালতে মামলা দায়ের

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৪, ২০:৫১

ছবি : সংগৃহীত

সাংবাদিককে আওয়ামী লীগ নেতার প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী দৈনিক ইত্তেফাকের সহ-সম্পাদক এম. এ. এম. ইব্রাহীম। ৪৪/২০২৪ নং মামলা।

সোমবার (৬ মে) ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তারের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিপি অ্যাডভোকেট বিবি ফাতেমা মুন্নী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মায়ের জমি বুঝে নিতে চাওয়ায় গেল ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) হাত-পা ভেঙে দেওয়া, বাদিকে ও তার পরিবারের প্রাণনাশের হুমকি দেন। যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্গত রায়েরবাগ ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোকশেদ হোসেন বেনটিং খান। এ ঘটনায় একইদিন জাজিরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরই সূত্র ধরে ২০ এপ্রিল শাহবাগ মোড় হইতে বিআরটিসি দোতলা বাস যোগে কাওরান বাজার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত ৩ জন গাড়িতে উঠে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বিবাদী মোকছেদ হোসেন বেন্টিং খানের নামে শরীয়তপুরের জাজিরায় করা জিডি তোলার জন্য বলে। না তুলে নিলে ওই সাংবাদিক ও তার পরিবারের ক্ষতি করবে বলে জানায়। এ মর্মে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়।

খোজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত এই আওয়ামী লীগ নেতা যাত্রাবাড়ী থানার অন্তর্গত রায়েরবাগ ইউনিটের সহ-সভাপতি মোকশেদ হোসেন বেনটিং খান। তার পৈত্রিক বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কবিরাজকান্দি গ্রামে। অভিযুক্ত বেনটিং খান ও বিবাদি সম্পর্কে মামা- ভাগ্নে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত বেনটিং ভুক্তভোগীর মায়ের জমি জবরদখল ভোগ করে আসছে এবং জমি বুঝে নিতে চাওয়ায় ঘটে বিপত্তি পরবর্তীতে ২১ মার্চ ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকির দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ মামলার প্রসঙ্গে ঢাকা বারের সাবেক ট্রেজারার ও এ.পি.পি অ্যাডভোকেট বিবি ফাতেমা মুন্নী বলেন, আসামি পক্ষের অপরাধ আদালতের পর্যালোচনায় দৃশ্যমান হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অনুযায়ী আসামিপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে স্বাভাবিকভাবেই মামলার কার্যক্রম চলবে।

অ্যাডভোকেট চৌধুরী গালিব রাগীব ও অ্যাডভোকেট কে এম মাহফুজ মিশু বলেন, আমরা বিজ্ঞ আদালতে শুনানীন্তে ১ নাম্বার আসামি মোকছেদ হোসেন বেন্টিং খানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণে সফল হয়েছি। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আসামির বিরুদ্ধে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা থাকায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে একজন বিজ্ঞ কৌসুলীর জিম্মায় শান্তিরক্ষার মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ কেন দেওয়া হবে না মর্মে আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
অত্র মামলাটি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আক্তার আমলে নেন।

বাদীপক্ষে মামলায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মারিয়াম মৌ, অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর