[email protected] সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের

মর্নিং টাইমস

প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৪, ২১:১৭

ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমি যেসব বক্তব্য রেখেছি, অনেকে ভেবেছিলেন আমি নিজেই নিজের নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেত্রী নিজেই এই বিষয়ে খোলাসা করে বলেছেন। স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রী স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-‘সেখানে (উপজেলা নির্বাচনে) কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। সে কথা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরিষ্কারভাবে বলেছেন। তার (প্রধানমন্ত্রীর) গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারেও আমাদের নেত্রীর গাইডলাইনস অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’

উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখানে আমার সমর্থনের প্রশ্নই উঠে না...স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা দেখবেন।

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার একজন স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না? আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না, সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলব একটা, আর কাজে করব আরেকটা, এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা বাস্তবে দেখবেন।’

এখনো অনেকের স্বজন প্রার্থী রয়ে গেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা শুরু করেছেন। সামনে আরও সময় আছে। প্রত্যাহার করতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের পরেও করা যায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, খালেদা জিয়ার আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি-এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাপ কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, আমরা উপলব্ধি করি। কীভাবে আমাদের ওপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনুভব করি।

নির্বাচনকেন্দ্রিক চাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগে প্রকাশ্য হুমকি-ধমকি ছিল, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিল। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেওয়া হয়েছিল। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিল বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিল না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমাদের দলের ৭৫তম রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন করব। সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করব। এর মধ্যে ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী, আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষেও সারা দেশে সব পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করব। সে ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা করব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিসুর রহমান প্রমুখ।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর