প্রকাশিত:
১৭ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:৩৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণ হলেও তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে সরকার বিচারিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হতো। এখন শুরু হয়েছে সাজা দিয়ে বছরের পর বছর আটকে রাখার প্রক্রিয়া। দেশের জনগণ এ প্রহসনের বিচার মেনে নেবে না।
রিজভী বলেন, বিএনপিসহ আন্দোলনরত সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দমন করতেই এ প্রক্রিয়া। এটি সরকারের একটি মাস্টার প্লান। বিএনপি এসব কালো আইনের বিচার মানে না।
বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু করা যায়। সেটাই দেখিয়েছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। আগে কেউ কখনো গায়েবি মামলার কথা শুনেনি। এখন শুনছি লাশের বিরুদ্ধে, পঙ্গু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এবং কেউ হজে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। ২০১৩ সালের মামলায় সাক্ষী তৈরি করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে সাজাও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে। তাকে সুচিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিচ্ছে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে দেশবাসীকে যিনি এক করেছেন, সেই তারেক রহমান এবং রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না হয়েও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে জিয়া পরিবারের সদস্য হবার কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল এবং হাবিবুর রশিদ হাবিবকে দিনে জামিন দিয়ে জজ সাহেব উপরের গায়েবী নির্দেশে রাতেই আবার জামিন বাতিল করেছেন। দেশে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা হচ্ছে। নিম্ন আদালতের বিচারকরা ওপর মহলের কারণে এখন আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। নিম্ন আদালতের প্রতি আজ মানুষের আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে বলেও জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মহসিন মিয়া, আব্দুল লতিফ তালুকদার, ওমর ফারুক, রইস উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: