প্রকাশিত:
৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০২
প্রযুক্তি কিন্তু আমাদের সেবার মান উন্নয়ন করে, আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এজন্য এবারও আমরা বডিওন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করবো। বিশেষ করে যেখানে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কিন্তু আমাদের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে কিন্তু আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খান এসব কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের যাত্রা উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি এবং ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের ঈদ যাত্রায় গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কের মানোন্নয়ন ও নির্মাণকাজ চলছে। ইতো মধ্যেই রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফায় কথা হয়েছে, সমন্বয় হয়েছে। নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত মহাসড়ক যে অবস্থায় তারা রাখবেন তাতে আমাদের ঈদ যাত্রায় কোনো বাধা তৈরি হবে না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আশা করি ঈদ যাত্রা হয়তো আজকে থেকেই শুরু হবে ও কাল-পরশু থেকে আরও বাড়বে। আগামী ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা কর্মমুখী মানুষদের ব্যাপক হারে সড়কে দেখতে পাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের সড়ক প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বিকভাবে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসাররা যেমন- জেলাপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ স্বার্বিকভাবে আমরা সড়ক মহাসড়ক পরিদর্শন করছি। আমাদের প্রস্তুতিকে আমরা রিভিউ করে নিচ্ছি যাতে করে এবার ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা করতে পারে, নিরাপদে তাদের স্বজনের কাছে পৌঁছতে পারে এবং যাতে ফিরে আসতে পারে।
তিনি বলেন, ঈদ যাত্রা উপলক্ষে কিন্তু এক ধরনের অপরাধী চক্র মাথা চাড়া দেয়। বিশেষ করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে ওঠে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে কিন্তু ১ মাস আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হিউজ পরিমাণ অপরাধীকে কিন্তু ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে, সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে। এই ধরনের অপরাধী থেকে যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে হবে। এদের কোনো ধরনের আলামত কিংবা সন্দেহ হলে আমরা যেন ৯৯৯-এ কল দেই। পুলিশকে যেন আমরা সহায়তা করি তাহলে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, যুকিপূর্ণ সব ধরনের যাতায়াত ব্যবস্তা যেন আমরা এড়িয়ে চলি বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপে আমরা যেন যাত্রা না করি। ঈদ যাত্রায় আমরা যেন আনন্দের সঙ্গে বাড়ি যাই এবং আনন্দের সঙ্গে ফিরে আসতে পারি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, আশুলিয়া থানার পরিদর্শক এএফএম সায়েদ, সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন: