প্রকাশিত:
২৯ জানুয়ারী ২০২৪, ১১:১১
ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশবিষয়ক এপিপিজি’র চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপির নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সবসময় জনগণের ম্যান্ডেটের পরিবর্তে অন্য শক্তির সহায়তায় ক্ষমতায় যেতে চায়। যখনই নির্বাচনের সময় আসে, তখনই তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তির সন্ধান করে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। বিএনপি সবসময় যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চায়। গত ৭ জানুয়ারি এবং ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি তারা কোনো নিশ্চয়তা না পায় যে কেউ তাদের ক্ষমতায় আনবে, তাহলে তারা নির্বাচন বয়কট করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় নির্বাচনের দিনে নির্বাচন বয়কট করেছিল। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারা কখনও ক্ষমতায় আসেনি। নির্বাচনটি ছিল অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক এবং এর সুষ্ঠুতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। যেখানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় এককভাবে ২৩৩টি আসন।
তিনি আরও বলেন, সেনানিবাসে সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে বিএনপির জন্ম। ওই ব্যক্তি (জিয়াউর রহমান) হ্যাঁ/না ভোট এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছেন। দীর্ঘ ২৯ বছর অগণতান্ত্রিক শক্তি বাংলাদেশ শাসন করেছে। সেসময়ে দেশে কোনো গণতন্ত্র ছিল না। ফলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দলকে এগিয়ে নেওয়ার মতো কোনো নেতৃত্ব বিএনপির নেই উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির লোকেরা শুধু লন্ডন থেকে নির্দেশ পাচ্ছে। এর ফলে ২০০৮ সালের পর বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার জন্য বিএনপি কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো সত্ত্বেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের ভোট দেয়। জনগণ বিএনপির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন: