প্রকাশিত:
৪ ডিসেম্বার ২০২৩, ১৬:৫৫
দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুর্গন্ধ আসা খুবই বেদনাদায়ক।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত নদী বিষয়ক এক সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী দশ বছরের মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নদীর কথা মাথায় রাখতে হবে।
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ। ঢাকার চারপাশের এই চারটি নদীর দখল-দূষণ বন্ধে, নাব্য ফিরিয়ে আনতে মহাপরিকল্পনা করছে সরকার। ইতিমধ্যে একটি মহাপরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি টাস্কফোর্স কাজও শুরু করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ছিল নদীরক্ষা, নদীর নাব্যতা বজায় রাখা এবং দূষণ থেকে রক্ষা করা। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। দূষণ ও দখল বন্ধ করে ফিরিয়ে আনতে হবে নাব্য।
তিনি বলেন, নদীর ধারে যেসব শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে ফেলে। সুয়ারেজ লাইনের সমস্ত বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে ।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা যাই করি না কেন, প্রথমে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখতে হবে। রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোকে বাঁচাতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা।
নদী প্রশিক্ষণের জন্য তিনি বলেন, নদীর গভীরতা বিবেচনা করতে হবে। এবং আমাদের অবশ্যই বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।
সরকার প্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব শহরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন: