[email protected] বুধবার, ২৭শে নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অবরোধের বিরূপ প্রভাব পাইকারি বাজারে

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ নভেম্বার ২০২৩, ২০:৫৬

ফাইল ছবি

হরতাল-অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। গত দুই সপ্তাহে চিনি, ভোজ্যতেল ও ডালের মতো নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দর কিছুটা বাড়তি হলেও দেশে দাম বাড়ার পেছনে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যস্ততম খাতুনগঞ্জে নেই পণ্যবাহী ট্রাকের জ্যাম, লোড-আনলোডিংয়ের তাড়াহুড়ো কিংবা ব্যবসায়ী ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক। গত ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধে এখন অধিকাংশ সময়ই খাতুনগঞ্জে দেখা মিলবে এমন দৃশ্য।

এতে পাইকারি এ বাজারে বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে বেড়েছে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম।

বাজারে গত ১০ থেকে ১৪ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সয়াবিনের দাম মণপ্রতি ২০০ টাকা, পাম ও সুপার সয়াবিনের দাম মণে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা বাড়লেও সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে হরতাল-অবরোধের, এমনটাই দাবি পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নভেম্বরের শুরুতে প্রতিমণ সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৫ হাজার ৭০০ টাকা। এ ছাড়া সুপার ৪ হাজার ৮৫০ টাকা ও পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬৮০ টাকায়। তবে বর্তমানে দাম বেড়ে প্রতিমণ সয়াবিন ৫ হাজার ৯৮০ টাকা, সুপার ৪ হাজার ৯৫০ টাকা ও পাম তেল ৪ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ডলার সংকট ও হরতাল-অবরোধের কারণে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম।

এ ছাড়া চিনির দামও পাইকারিতে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ টাকায়। নভেম্বরের শুরু যা ছিল ৪ হাজার ৭০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায়। দামও আরও বাড়াতে এরই মধ্যে মিলাররা সরকারের কাছে আবদেন করেছে। মূলত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে মানভেদে বিভিন্ন ডালের দামও কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল ১০২ থেকে ১৩০ টাকা, মুগ ১১৭ থেকে ১৩২ টাকা, ছোলা ৮৬ থেকে ৯৮ টাকা ও মটর ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পেঁয়াজ, রসুন, আদার মতো কাঁচা পণ্য সরবরাহ নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ -আদার দাম কমলেও কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে রসুনের দাম।

আড়তদাররা জানান,রসুনের দাম বাড়তি। কয়েক দিন আগেও যে রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত।

স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০টি ট্রাক ভোগ্যপণ্য নিয়ে খাতুনগঞ্জে এলেও এখন তা ৪০ শতাংশ কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে রাতে ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহনে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানান তারা।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর