প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বার ২০২৩, ১৫:১৬
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এই আন্দোলন করে কিছু হবে না। নির্বাচন থামবে না। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়ে গেছে। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। সবাই আসুন। আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না।
তিনি বলেন, সকলকে আহবান জানাবো নির্বাচনে অংশ নিন। সরকারি দল হিসেবে অনুরোধ করছি, কারো জন্য কোনো বাধা নেই। আপনাদের জন্য ইলেকশনের দরজা এখনো বন্ধ হয়নি। বিএনপিও যদি মত পরিবর্তন করে নির্বাচনে আসে ওয়েলকাম।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণতন্ত্রের জন্য আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক রীতি নীতির চর্চা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলের চিন্তা করে না। নির্বাচন ব্যতীত ও জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি। আমরা সবসময় গণতন্ত্রকে অনুসরণ করে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী বছরগুলোতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনা। এই সংগ্রামে তিনি নিগৃহীত হয়েছেন, জেল খেটেছেন। স্বৈরশাসকদের রোষানলে পড়েও জেলে যেতে হয়েছে। পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনা ফিরে এসেছেন বলেই আমরা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এই স্বাধীনতা কে দিয়েছে? শেখ হাসিনা। এর জন্য অন্য কারো কৃতিত্ব ছিল। মিনিংফুল, ক্রেডিবল ইলেকশনের জন্য যে যে বিষয় দরকার সেগুলো ফুলফিল করেছেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
কাদের বলেন, সংলাপের কথা বলেন দায় চাপাতে চান আমাদের ওপর। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড আপনারা। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড আপনারা। আমরা আপনাদের কাকে হত্যার চেষ্টা করেছি। আমরা হত্যা, ষড়যন্ত্রে স্বীকার হয়েছি। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি কখনো করিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা আজ ডায়লগের কথা বলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণভবনে ডায়লগ ডেকেছেন। সেখানে বিএনপিকে পরপর দুই দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন বেগম জিয়া অংশগ্রগহণ তো দূরের কথা। বরং তিনি যে বিশ্রি, নোংরা ভাষায় ব্যবহার করেছেন তা গোপন নেই। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেছেন। খালেদা জিয়া সংলাপে আসেননি।
তিনি বলেন, আমাদের দোষ কোথায়? অপরাধ কোথায়? শেখ হাসিনার অপরাধ কোথায়? আপনার (কোকো) ছেলে মারা গেল। প্রধানমন্ত্রী সান্তনা দিতে গেলেন। ঘরের ফটক বন্ধ। দেশের প্রধানমন্ত্রী এপয়েনমেন্ট করে গেছেন তারপর ঘরে যেতে পারেননি। সন্তানহারা মাকে সান্তনা দিতে গিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: