[email protected] শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ নভেম্বার ২০২৩, ১৫:৫৯

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা জেনেভায় আজ সোমবার বিকাল ৩টায় জেনেভায় শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)’ বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গুম, খুনের অভিযোগ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ—সব বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। খবর কালেরকণ্ঠ।

বাংলাদেশ কিভাবে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করবে সে বিষয়ে আগাম প্রশ্ন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নির্বাচনসহ অন্য সব বিষয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইউপিআর সভায় অংশ নিয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে তারা বিগত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।

আইন মন্ত্রণালয় জানায়, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।

এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআরে অংশ নিয়েছিল। মূলত তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এগুলো হলো সরকার দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর