প্রকাশিত:
১ নভেম্বার ২০২৩, ১৯:০৪
আন্তর্জাতিক কার্ডের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো দেশীয় মুদ্রার কার্ড ‘টাকা পে’। বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে এই কার্ডটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কার্ড চালুর মাধ্যমে নিজস্ব কার্ড যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে ‘টাকা পে’। প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে টাকা-রুপি কার্ড চালু করা হবে, যা দিয়ে গ্রাহক ভারতে লেনদেন করতে পারবে।
ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসা ও মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে টাকার ইলেক্ট্রনিক স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা দেয়। দেশীয় কার্ড ‘টাকা পে’ একই সেবা দেবে।‘
‘টাকা পে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘টাকা-পে’ কার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ‘টাকা পে’ কার্ড এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম লেনদেন করবে রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। অন্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে টাকা পে কার্ড চালু করবে। শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্টস অব সেলস ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
শুরুতে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা গেলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে। এই কার্ডের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ। তবে এখন সব ব্যাংকের কার্ডেই বাড়তি নিরাপত্তা সংবলিত নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে টাকা পে কার্ডও ইএমভি প্রযুক্তি আনা হবে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: