[email protected] সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএনপির তর্জন-গর্জন ও হুংকার আষাঢ়ে গল্পের মতোই হাস্যকর

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
৬ অক্টোবার ২০২৩, ২১:৩২

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিএনপির সব তর্জন-গর্জন ও হুংকার আষাঢ়ে গল্পের মতোই হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি যতবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, জনগণ ততবারই তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। খবর প্রথম আলো।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির নেতারা তথাকথিত রোডমার্চের নামে জনগণের কাছে মিথ্যা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। দেশের আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নতুন নতুন সেতু, উড়ালসড়ক এবং নতুন শিল্পাঞ্চল ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখে তাদের চোখ, অন্তর, বিবেক ও মস্তিষ্ক দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাই একের পর এক ব্যর্থ আলটিমেটামের রেশ না কাটতেই তথাকথিত এক দফার জন্য তারা পুনরায় হাস্যকর আলটিমেটাম দিয়েছে।

সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ ভুলে যায়নি, তাদের এক দফা, দশ দফা, একত্রিশ দফা চরম ব্যর্থতায় বিলীন হয়ে গেছে। তাদের ঈদের পর, পূজার পর, পরীক্ষার পর কঠোর আন্দোলনের হুমকি আজ জনগণের কাছে উপহাসের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ জানে, বিএনপির এই আন্দোলন দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানকে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মসনদে বসানোর আন্দোলন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জন্মগতভাবেই বিএনপি একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল। এটি সংবিধান ও গণতন্ত্র হত্যাকারী দল এবং ভোটাধিকার হরণকারী দল। বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, কারফিউ বহাল রেখে সংবিধান স্থগিত করে হ্যাঁ/না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করা, হওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলে রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে বিএনপির কাজ।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, বাংলাদেশকে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করার মধ্য দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান ব্যতীত দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিএনপির ন্যূনতম কোনো অবদান নেই। কেবল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা সমালোচনা, সরকার ও দেশবিরোধী অপপ্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তিকে একত্র করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা ছাড়া একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির জনকল্যাণে কোনো আদর্শ নেই।

বিএনপি নেতারা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিষোদ্‌গার করছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের শান্তিকামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সংকল্পবদ্ধ।

বিদেশ থেকে শেখ হাসিনা কখনো খালি হাতে ফেরেন না দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের জন্য সব সময় মর্যাদা, সমৃদ্ধি ও স্বীকৃতি নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের অর্জন ছিল দুর্নীতিতে টানা পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অপর নাম। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত শান্তি, ন্যায়বিচার ও উন্নয়নের জন্য জনগণের ক্ষমতায়ন মডেল জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রস্তাব আকারে গৃহীত হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অসাধারণ উদ্ভাবনী কমিউনিটি ক্লিনিক জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কাছে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘে শেখ হাসিনার গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতি বিএনপির গাত্রদাহের কারণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি বিশ্বসভায় আজ আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অসংখ্য স্বীকৃতি, পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য তিনি বারবার গৌরব নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির সেই অন্ধকার যুগে আর কখনো ফিরে যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতির এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

 

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর