[email protected] শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এক ডিমেই ১৫ টাকা!

অর্থনীতি ডেস্ক

প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ০০:৪৬

প্রতীকী ছবি

একটি ডিমের দাম ১৫ টাকা। এক হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর ডজন বাজারভেদে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গত সপ্তাহেও একটি ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকায়, অর্থাৎ হালি ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।

এ ছাড়া দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন দরে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ২৪০ টাকায়। সোনালী মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। ঢাকার কয়েকটি বাজারে শুক্রবার খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

বাড়ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও। আর মরিচ, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি, সয়াবিন তেল ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ টাকা বেড়ে এখন ৮০ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচাকলার হালি ৪০ টাকা।

ইলিশের ভরা মৌসুমেও কমছে না মাছের দাম। বাজারে ৬০০ বা ৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি বা তারও বেশি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই-কাতলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া, পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

রাজধানীর বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি বা কক মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি বাজারভেদে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ১১০০ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা।

এদিকে গরিব ও মধ্যবিত্তের আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। মাছ-মাংসের দাম বাড়তি থাকলে ডিম দিয়ে আমিষ ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হতো। সেই ডিম এখন একটি কিনতে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকা। বাজার স্বাভাবিক করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঠে নামছে।

ডিমের দামের এই রেকর্ড উল্লম্ফনের পেছনে কারসাজি রয়েছে কিনা, তার খুঁজে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিম বিক্রেতারা সরবরাহ কমে যাওয়াকে কারণ দেখিয়েছেন এবং খামারিরা উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ দেখাচ্ছেন— গত কিছু দিনের অতিরিক্ত গরমের পর এখনকার অতিবৃষ্টিকে। এ অবস্থায় ডিমসংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে রোববার সভা ডাকা হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে।

বর্ষাকালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে প্রতি বছর এই সময় ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি থাকে। তবে এবার দাম বৃদ্ধি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

ডিমের দাম এত বেশি আগে কখনো না দেখার কথা জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, প্রান্তিক মানুষের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

পরিকল্পনা করে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা, তা বের করতে অভিযানে নামছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে রাতের মধ্যেই প্রয়োজনীয় জায়গায় অভিযান চালানো হতে পারে।

 

বাংলা গেজেট/এমএএইচ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর