প্রকাশিত:
১ অক্টোবার ২০২৩, ২১:৪১
যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ‘সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলব’ বলা সমীচীন নয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খবর দৈনিক বাংলা।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনো বরদাশত করবো না। যে কেউ রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, সরকারের পদত্যাগও চাইতে পারে। কিন্তু সেটি বলে দিনক্ষণ ঠিক করে ‘সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলব’ সেটি বলা সমীচীন নয়, সেটি রাজনীতির ভাষা নয়।”
তিনি বলেন, ‘যে ভাষায় বিএনপি কথা বলছে, সেই ভাষা ইঙ্গিত দেয় তারা দেশে একটি সহিংসতা, নাশকতা করতে চায়। সেটি করতে দেওয়া হবে না কাউকে। আমি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বলছি, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে কীভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয় সেটি আমরা জানি।’
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ৫২ বছরে বাংলাদেশের পথচলায় জাপান অর্থনৈতিকভাবে, অবকাঠামোগতভাবে আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে সে নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। দেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতে যেন আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি সেজন্য তার সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রসঙ্গ টেনেছেন, অবশ্যই আমি তাকে জানিয়েছি আগামী নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্ট (অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ) হবে এবং ইলেকশন অনুষ্ঠান করা সেটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।’
‘ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা যে কখনো কারও জন্য সমীচীন নয়, সেটি আমি তাকে বলেছি। একইসঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা না হয় যেটি ২০১৩-১৪-১৫ সালে হয়েছে এবং সময়ে সময়ে বিএনপি করে এবং এখনো করার চেষ্টা করছে, উসকানি দিচ্ছে, এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন জনগণ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, সুন্দর সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটি আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি’, যোগ করেন মন্ত্রী।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: