প্রকাশিত:
১ অক্টোবার ২০২৩, ২০:১১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন ভোটের অধিকার জনগণের হাতে। কাজেই নির্বাচিত সরকারই নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ভোটের অধিকার এখন জনগণের হাতে। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এই মন্তব্য করেন। খবর বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। এখন আমাদের সংবিধানও জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষিত করে। নির্বাচিত সরকারের পরিবর্তে একটি নির্বাচিত সরকার (ক্ষমতায়) আসবে।
সাক্ষাৎকারকারী প্রধানমন্ত্রীকে সম্পূরক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি বলছেন সংবিধানে (সিজি) এর কোনও সুযোগ নেই। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করার জন্য সংসদে তো আপনার প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আপনি কি সংবিধান পরিবর্তন করে সিজি আনার কোনও উদ্যোগ নেবেন? নাকি বিরোধী দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন?
শেখ হাসিনা বলেন, একসময় তারা (বিএনপি) এর (সিজি) বিরোধিতা করত, এখন তারা দাবি করছে, কিন্তু ভবিষ্যতে তারা কী করবে তা নিশ্চিত নয়। তাছাড়া বিএনপি এই (সিজি) ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা হাইকোর্টের বিচারকদের বয়স বাড়ানো, ১.২৩ কোটি ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ ইচ্ছেমতো সরকার বসানোর জন্য নানা ধরনের অপকর্ম করেছে। কোনোটাতেই কাজ হয়নি, কারণ জনগণ তা মেনে নেয়নি।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন হাইকোর্টের একটি রায়ের পরে তা করা হয়। এতে বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশে কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে পারবে না এবং একটি নির্বাচিত সরকারকে অন্য নির্বাচিত সরকার দ্বারা প্রতিস্থাপিত করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং সামরিক আইনের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের শাসনকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই রায়ে বলা হয়েছে- ‘নির্বাচিত নয় এমন কেউ সরকারে আসতে পারবে না’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে।
‘সেই বিবেচনায় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই রায় কার্যকর করা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় থেকে আমরা কীভাবে সরে আসব বা কীভাবে আবার সংবিধান সংশোধন করব?
তিনি আরও বলেন, ‘কেন আমরা এটা করব?
তিক্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো হলো মার্শাল ল’- সামরিক একনায়কত্ব; তাদের অধীনে নির্বাচনী প্রহসন, তারপর আবার সিজির অধীনে নির্বাচনী প্রহসন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: