[email protected] রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভিসানীতি নিয়ে সরকারি-কর্মচারীদের ভয়ভীতি থাকতে পারে 

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
১ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:০৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

সরকারি কর্মচারী এবং সমাজের উঁচুস্তরের মানুষের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির বিষয়ে ভয়-ভীতি থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সম্প্রতি মার্কিন ভিসানীতিসহ বর্তমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন মোমেন। এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খবর কালবেলা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটা ভয়-ভীতি থাকতে পারে, কিংবা এ ধরনের যারা সমাজের উঁচুস্তরের মানুষ আছেন তাদের মধ্যে থাকতে পারে। কারণ তাদের ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকে। ওনারা অনেকে ঘুস-টুস খেয়ে দুর্নীতি করে বিদেশে বাড়ি-ঘর করেছেন। ওনাদের একটা ভয় থাকতে পারে যে ওনাদের যদি ভিসা না দেয় তাহলে বাড়ি-ঘরটা দেখভাল করবেন কীভাবে।’

মার্কিন ভিসানীতিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাতামাতি বেশি। এর একটি কারণ আমাদের সংবাদ মাধ্যম। কারণ আমাদের সংবাদ মাধ্যম বিদেশিদের বক্তব্য শুনলেই লাফিয়ে ওঠে।

বিদেশে যখন ইলেকশন হয়, আমেরিকায় যখন ইলেকশন হয় কোনো বিদেশি সাংবাদিক তাদের খবরও দেয় না। আর বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূত কিংবা বিদেশি সম্মানিত নোবেল লরিয়েটের আমেরিকার ইলেকশন নিয়ে কথা বলার সাহস নেই। কারণ মিডিয়া এটা ফলাও করে বলবে না। এখানে এটা একটা মজা, বিদেশিরা কিছু বললেই আপনারা (মিডিয়া) ফলাও করে বলেন।’

ভিসানীতিতে চাপ নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাইরের লোকের এই যে চাপ আপনারা তৈরি করেন, আমরা কোনো প্রেশার ফিল করি না। কারণ আমরা সৎ পথে আছি, স্বচ্ছ পথে আছি। ভিসানীতি আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক।

ভিসানীতি সব দেশেরই আছে। সে যাকে ইচ্ছা তাকেই ভিসা দেয়। আর হঠাৎ করে তারা একটা ঘোষণা করল, এটা আমাদের জন্য অপ্রাসঙ্গিক। এটা করেছে কারণ আমাদের দেশের অনেক সংখ্যক সরকারি কর্মচারী বড় বড় ব্যাংকের মালিক কিংবা ব্যাংকে চাকরি করেন, এমডি-সিইও যারা আছেন এবং যারা সিভিল সোসাইটির নেতা, আমাদের দেশে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সিভিল সোসাইটির অনেক নেতা বিদেশি পয়সায় চলেন। ওরা টাকা দেয়, কীভাবে ওনারা খরচ করেন আমরা কিছুই জানি না।’

বাংলা গেজেট/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর