প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২০:৫৮
বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এতো বেশি অহংকারী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে পড়েছেন যে, কারও কথায় গা করছেন না। দেশের সব মানুষ ও রাজনৈতিক দল যখন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলেছে; তখন তিনি তা উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি সেই সংবিধানের অধীনেই নির্বাচনের কথাই বলছেন। এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না।’
বর্তমান সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের পরিবর্তে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বিএনপির দাবি, এতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত গত দুটি নির্বাচন এর প্রমাণ।
এ জন্য বর্তমান সরকারকে ‘জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আপনারা কি তাদের (বর্তমান সরকার) ক্ষমতায় থাকতে দেবেন?’
সমাবেশে উপস্থিত মহিলারা সমস্বরে বলে উঠলেন, ‘না, না, না।’
বর্তমান সরকার কাউকেই ছাড় দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতা থেকে সরকারকে বিদায় করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ সরকারকে বাধ্য করতে হবে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার। এর পর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি মহিলা দলের এই সমাবেশকে স্বাধীনতার পর প্রথম সমাবেশ বলে অভিহিত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দি আছেন। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হচ্ছে- সর্বপ্রথম তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠান। পরিবার থেকে আবার আবেদন করা হয়েছে। সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নিন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: