প্রকাশিত:
২৬ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৬:০১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) যুক্ত করতে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় মৌখিক সম্মতি দেয়ায় এই নিয়োগ পরীক্ষার সমস্যা সমাধান হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। অক্টোবরের শেষ দিকে প্রথম ধাপে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নেয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে প্রস্তুতিও শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মৌখিক সম্মতি পাওয়া গেছে। আশা করছি, অনুমোদনের চিঠি শিগগির হাতে পাব। চিঠি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।
এর আগে দেশের সকল বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত ৭ হাজার ৪৬৩টি শূন্য পদের জন্য তিন ধাপে মোট সাড়ে ১১ লাখ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে বলে জানালেও, সাড়ে ১১ লাখ প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফল ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা অধিদফতরের না থাকায় গত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মতো অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) এই কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এই ব্যয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন প্রয়োজনের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা আটকে ছিল।
এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এই নিয়োগের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য এবং তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
সূত্র মতে, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন; ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন আবেদন করেছেন। এই নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদ ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩৬৫, চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি, সিলেট বিভাগে, ৪১১টি, বরিশালে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯ এবং রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮ টি। তবে নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পদ শূন্য হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সর্বশেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ না দেওয়ায় পদগুলো শূন্য থেকে যায়।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: