প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৩, ০৩:২৪
ঢাকায় শ্রাবণের প্রথম ভাগে বৃষ্টির দেখা না মিললেও শেষ ভাগে এসে প্রায় প্রতিদিন দেখা মিলছে বৃষ্টির। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রোদ ও গরম থাকলেও বিকেলে আকাশ কালো হয়ে নামে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। ঢাকা ছাড়া সারাদেশেই এদিন কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তাপাড়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সরদার উদয় রায়হান বলেছেন, ‘আগামী দুইদিন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই, নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, দুতিনদিনের মধ্যেই বন্যার পানি অনেক নেমে যাবে।’
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়।
এবার শ্রাবণের শেষে এসে ভারি বর্ষণকে বর্ষার ‘পরিপূর্ণ রূপ’ হিসেবে দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তার মধ্যে বান্দরবানের বৃষ্টি ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, যাতে তলিয়ে যায় এ জেলা শহর। নয় দিনে এ জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, গত ৯ দিনে চট্টগ্রামে ৭২৭ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ৪১১ মিলিমিটার ও রাঙামাটিতে ৬৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে এই সময়ে এ অঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারি, গোয়াইন, ঝালুখালি, ভোপাই-কংস, সোমেশ্বরী ও যাদুকাটা নদ-নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ভারতের গঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে, যা আরও তিন দিন বাড়তে থাকবে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: