প্রকাশিত:
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২০:০৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে বিএনপি আসলেই নির্বাচন চায় কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন আওয়ামী লীগ শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে এই নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়? তাদের নেতা কে?
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পলাতক আসামি, অর্থচোর, অস্ত্র চোরাচালানকারী, খুনি ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী যদি একটি দলের নেতা হয়, তবে মানুষ কেন সেই দলকে এবং তাকে ভোট দেবে?’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পায়নি এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেনি।
নির্বাচন ঠেকানোর নামে (বিএনপি-জামায়াত জোট) অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনো সেই পোড়া মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যাবে যে কী জঘন্য কাজ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এটি করেছে, তাদের মতো আর কেউ ঘৃণ্য হতে পারে না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অন্তত অনুধাবন করা উচিত যে তারা নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছেন এবং নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় আজ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, নৌকায় (দেশের জনগণ) ভোট দেওয়ার কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা বিদেশে থাকেন তাদের বুঝতে হবে, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিদেশে কারও সঙ্গে কথা বলা যেত না, এখন মানুষ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী অপপ্রচারে কর্ণপাত না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন সব সময় উজ্জ্বল হয়, তা আপনাদের সব সময় মনে রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন বিশ্বনেতারা (বাংলাদেশের সাফল্য) স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন আমাদের কিছু পাপাচারী যা বলছে, তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ও তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন।
নিন্দুকদের মুখোশ উন্মোচন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অপপ্রচার করলে তাদের মুখ উন্মোচিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।’ এই চোর চক্র থেকে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা গেজেট/এফএস
মন্তব্য করুন: