প্রকাশিত:
১১ আগষ্ট ২০২৩, ০০:৩৩
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরএমজি রফতানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ৭২৯ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে আমাদের পোশাক রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইইউ অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রফতানি বেড়েছে। এর মধ্যে স্পেনে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ফ্রান্সে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ইতালিতে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ২৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ এবং পোল্যান্ডে ১৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
এক চিঠিতে মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য জার্মানিতে আমাদের রফতানি বছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে এবং তা ৫১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা এবং স্লোভাকিয়াতে রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ অর্থ-বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্য বছরে রফতানি ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইভাবে কানাডায় বছরে রফতানি ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রফতানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ভারতে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রফতানি ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: