প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২০:৪৯
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ছাত্ররাজনীতি ঢেলে সাজানো দরকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য যে ধরনের বাস্তবতা রয়েছে, একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের ধরন, সিলেবাস, সেখানকার শিক্ষার্থীদের সার্বিক যে প্রয়োজন রয়েছে, সেই প্রয়োজনের আলোকে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ঢেলে সাজানোরও প্রয়োজন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজস্ব অডিটোরিয়ামে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করার জন্য আমরা সম্মেলন করি না। বরং ছাত্রলীগের শক্তিকে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আমরা সম্মেলন করি। ছাত্রলীগের শক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সম্মেলনের আয়োজন করি।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে ছাত্ররাজনীতি পরিবর্তন ও পার্থক্য থাকা উচিত বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির চরিত্র, অপরদিকে একটি মেডিকেল কলেজ কিংবা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির মধ্যে অবশ্যই কিছু পার্থক্য থাকা উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উপর থেকে ছাত্ররাজনীতি আরোপ করে দেবে, সেই ছাত্ররাজনীতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্বাস করে না। আসুন গতানুগতিকার বৃত্ত ভেঙ্গে আমরা নতুনত্বের জয়গান গাই, নতুন ছাত্ররাজনীতি আমরা বাংলাদেশে নিশ্চিত করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন, যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার কথা বলছেন, যে কারণে আমরা মনে করি যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে, তাদের সারা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় যেতে হবে। আমরা যেন প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছুটে চলি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে লড়াই, সেই লড়াই বর্তমান সময়েও যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা জারি রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত, আধুনিক, সৃজনশীল ও স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ধারাকে ধাবমান রাখতে হবে।
রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এবং আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, যুব মহিলা লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ কনক, এনামুল হক তানান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী। সঞ্চালনা করেন রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহাফুজুর রহমান তপু। সম্মেলনে রুয়েট ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনে রুয়েট ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বাংলা গেজেট/এমএএইচ
মন্তব্য করুন: