প্রকাশিত:
২৭ আগষ্ট ২০২৩, ০০:২০
গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন কুষ্টিয়ার স্থানীয় চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে আগামজাতের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে অধিক লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা।
খরিপ-১ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় গোল্ডেন ক্লাউন, ব্ল্যাকবেরিসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ চাষ হয়েছিল। এরমধ্যে দৌলতপুরে চাষ হয়েছে ১হেক্টর জমিতে। এতে বেশ সাফল্য পেয়েছেন কৃষকরা।
মাত্র দুইমাস সময়কালীন লাভজনক ফসল তরমুজ চাষে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর খরচ বাদ দিয়ে কৃষকদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৮০ হাজার টাকা থেকে একলক্ষ টাকা পর্যন্ত। এমনটি জানিয়েছে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের তরমুজ চাষী এনামুল হক।
গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ও রসালো ফল হওয়ায় অনেকে ক্ষেত থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টাটকা তরমুজ ক্রয় করতে ছুটে যাচ্ছেন ক্ষেতে। আবার কৃষক এনামুলের দেখাদেখি তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।
গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন রংয়ের তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কৃষি বিভাগও তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও কারিগরি পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।
ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে কৃষকদের বিরত রাখতে অধিক লাভজনক তরমুজসহ বিভিন্ন ধরণের অর্থকরী ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা।
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: