[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

কৃষকের দিন বদলে দেবে জি-৯ কলা

কৃষি ও পরিবেশ ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ আগষ্ট ২০২৩, ২১:৫৬

জি-৯ কলা

কৃষকের দিন বদলে দেবে জি-৯ জাতের কলা চাষ। গ্র্যান্ড নাইন’ (জি৯) এক ধরনের সাগর কলার মতোই উন্নত জাতের কলা যা সম্প্রতি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্র্যান্ড নাইন একটি ক্যাভেন্ডিজাতীয় কলা।

চিকিতা ব্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের একটি অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক জাতের কলার কারণে একে অনেকে ‘চিকিতা ব্যানানা’ নামেও ডাকেন। এর গাছ জায়ান্ট ক্যাভেন্ডিশ জাতের চেয়ে খাটো, কিন্তু ডোয়ার্ফ ক্যাভেন্ডিশ জাতের গাছেরচেয়ে লম্বা।

ভারতে ইসরায়েল থেকে ১৯৯৫ সালে জি-৯ কলা আনা হয়, সে দেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫০ লাখ জি-৯ টিসুকালচার চারা উৎপাদিত ও রোপিত হয় যা মোট কলাচাষের প্রায় ১৭%।

বাংলাদেশে এ জাতের কলার চাষ শুরু হয়েছে। এ জাতের কলার চারা উৎপাদিত হয় টিসু কালচারের মাধ্যমে। সনাতন প্রথায় প্রচলিত জাতের কলা চাষ করতে গেলে রোগমুক্ত চারা সহজে মেলে না। কিন্তু টিসু কালচারের চারা সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত। জি- ৯ জাতের কলায় এসব অসুবিধা নেই। তাই ঘেরের পাড়ে এ জাতের কলা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যেতে পারে।

সারা দেশে মাঠেও এককভাবে বাগান আকারে বাণিজ্যিকভাবে জি-৯ কলার চাষ করা যায়। এক একর এ জাতের কলা চাষে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ হয়।জি- ৯ কলার বৈশিষ্ট্যএ জাতের কলার ফলন বেশি, সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধী।

একটি গাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি বা ২২০-২৪০টি কলা পাওয়াযায়, সেখানে প্রচলিত জাতের কলা পাওয়া যায় সর্বোচ্চ   ৬০-১২০টি। দুইবছরে তিনবার ফল পাওয়া যায়। গাছ মাঝারি আকারের (২ মিটার লম্বা) ও শক্ত হওয়ায় ঝড়-বাতাসে সহজে ভেঙে পড়ে না। এমনকি এ জাতের কলা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সহনশীল।

গাছ থেকে কলা পাড়ার পর তুলনামূলকভাবে এই কলা বেশি দিন টিকে থাকে বা নষ্ট হয় না। কাঁদির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবগুলো কলার আকার এক রকম হয়। পাকা কলার রং আকর্ষণীয় হলুদ, লম্বা ও কম বাঁকানো, কলার গায়ে কোনো দাগ পড়ে না। এসব কারণে বিশ্বব্যাপী ‘জি- ৯’ জাতের কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় টিস্যু কালচার ল্যাবে উৎপাদিত প্রতি পিস চারার মূল্য ৪৫ টাকা।  চারা সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন প্ল্যান্ট মলিকুলার বায়োটেকনোলজি ল্যাব প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। মোবাইল-০১৫৫৬৩১১৩১০


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর