[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাণিজ্যিকভাবে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সফল মেহেদী

ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত:
২২ নভেম্বার ২০২৩, ১৬:০৯

সংগৃহিত ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের যুবক মেহেদী আহসান। শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকরির পিছনে না ঝুঁকে বেছে নিয়েছেন কৃষি পেশা। বাণিজ্যিকভাবে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনে তার সফলতা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় পর্যায়সহ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক ও এআইপি সম্মাননাও পেয়েছেন।

মেহেদীর পুরোনাম মো. মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের চামেশ্বরী গ্রামের মৃত হামির উদ্দিন সরকারের ছেলে।

মেহেদী জানান, তিনি পড়াশোনা শেষ করে ২০০০ সালে মাত্র ৫০ শতক জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে সবজি আবাদ শুরু করেন। এভাবে কৃষিতে আশার সম্ভাবনা দেখে এখন তিনি প্রায় ৫০ একর জমিতে চাষাবদ করছেন। এর মধ্যে শুধু বিষমুক্ত নিরাপদভাবে কপি, মুলা, লাউ, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি প্রায় ১০-১২ একর জমিতে চাষ করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ফলের বাগান, মৌ চাষ, ‍বিডি-২ জাতের চা চাষসহ আলু, গম, ধান ও পুকুরে মাছ চাষ করেন। বাড়িতে রয়েছে বিভিন্ন পশু-পাখির খামারও। বলা যায় এমন কিছু বাকি নেই, যা তিনি চাষ করেন না।

জানা গেছে, তার এসব কৃষি খামারে অনেকে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তিনি ব্যাপক সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। তাই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে তার সবজি।

বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে অবদান এবং তার উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তিনি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে তার খামার দেখতে ও পরামর্শ নিতে নিয়মিত আসছেন অনেকে।

এ কৃষি উদ্যোক্তার খামারে প্রতিদিন কাজ করে দিনাতিপাত করছেন ৪০ থেকে ৫০টি পরিবার। তার সবজি বাগানে কর্মরত শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, মেহেদী ভাইয়ের আবাদি জমিতে আমরা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছি। তার এখানে কাজ পেয়ে আমার পরিবার নিয়ে ভালো আছি। এছাড়াও এখানে কাজের মাধ্যমে জৈব সার প্রয়োগ ও ফাঁদ পেতে পোকা দমনসহ বিভিন্ন কৌশল শিখেছি।

প্রতিবেশী নিরাপদ সবজি চাষী তৈমুর আলী বলেন, এবার আমি ছয় বিঘা জমিতে নিরাপদ সবজির আবাদ করেছি। মেহেদী ভাইয়ের কাছে পরামর্শ নিয়ে ও তার সবজি বাগানের শ্রমিক ব্যবহার করায় আমার জন্যে উৎপাদন বেশ সহজ হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎপাদন খরচ খুবই কম। সেই সঙ্গে বাজারে এসব সবজির চাহিদাও বেশি। এরপরে আমি আরও দুই একর জমিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নিশ্চিত করেছি।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও উৎপাদ খরচ কম হাওয়ায় নিরাপদ সবজি কৃষকের জন্যে অধিকতর লাভজনক। কৃষকদের আমরা নিয়মিত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে আসছি। সূত্র: রাইজিংবিডি

বাংলা গেজেট/বিএম


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর