প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বার ২০২৩, ১২:৪৯
ফলের রাজ্য হিসেবে খ্যাত ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা। এ উপজেলায় লিচু, কাঁঠাল, বরই, গ্রিন মাল্টা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের আবাদ হয়। দেশজুড়ে বিজয়নগরের রসালো লিচুর সুনাম রয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চায়না-থ্রি-জাতের কমলার আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিজয়নগরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুলালপুরের বাসিন্দা প্রবাস-ফেরত যুবক মো. আলমগীর ভূঁঞা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে মাত্র দুই বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে ইউটিউব দেখে চায়না কমলা চাষ শুরু করেন কৃষক আলমগীর ভূঁঞা। তিন বছর আগে ১৮০টি চায়না কমলার চারা রোপণের পর সফলতার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন তিনি। চারা লাগানোর পর অধিকাংশ লোক তাকে নিরুৎসাহিত করলেও হাল ছাড়েননি আলমগীর ভূঁঞা। মাত্র ৪ লাখ টাকা নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে শুরু করেন কমলা চাষাবাদ। আজ সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া ছোট ছোট হলুদ রঙের কমলা। নতুন করে আরও ৪০০ চারা রোপণ করেছেন। এ বছর ৯ থেকে ১০ টন কমলার ফলন আশা করছেন তিনি। যা ১২ লাখ টাকার মতো বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক ফলেই হলুদ-পাকা রং ধরেছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
প্রবাস ফেরত কৃষক আলমগীর বলেন, আমি ইউটিউব দেখে দুই বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে চায়না কমলা চাষ শুরু করি। এ বছর যে পরিমাণ ফলন এসেছে আশা করছি, বাগান থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারব। তিন বিঘা জমিতে নতুন করে আরও ৪০০ চারা রোপণ করেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, চায়না কমলা চাষের দিকে নজর দিলে চীন থেকে কমলা ক্রয় করতে হবে না বলে মনে করছেন গবেষকরা। তারা মনে করেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চায়না কমলার বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ সুদৃষ্টি দিলে কমলা চাষে যেমন আগ্রহ বাড়বে তেমন দেশের চাহিদাও মেটাতে পারবেন চাষিরা।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রবাস-ফেরত আলমগীর এখন সফল। গত বছরের তুলনায় এবার তিন গুণ বেশি ফলন এসেছে। তিনি একজন সফল এবং সাহসী উদ্যোক্তা। নতুন করে আরও একটি বাগান তৈরি করেছেন। আশা করি বিজয়নগরে চায়না কমলার চাষ বাড়বে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
বাংলা গেজেট/বিএম
মন্তব্য করুন: