যুবক বয়সের ইবাদত-বন্দেগির মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বেশি

সংগৃহীত

আল্লাহতায়ালা যুবক বয়সের ইবাদত-বন্দেগির মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বেশি দিয়েছেন। কেননা তখন মানুষ বেশিরভাগই সুস্থ থাকে এবং সব ইবাদত যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। এজন্য হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যৌবনে ইবাদতকারীদের পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলে কারিম (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘সাত প্রকারের মানুষকে আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন। যেদিন ওই ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। ছায়াপ্রাপ্তদের অন্যতম হচ্ছে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন যুবক।’ -সহিহ বোখারি

মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে- যৌবনকাল। মানুষের ১৮ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সকে যৌবনকাল বলা হয়। এই সময়ে মানুষের শরীরে শক্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। তখন মানুষ যেকোনো বাধার প্রতিবন্ধতা ডিঙিয়ে তার লক্ষ্যপানে ছুটতে পারে। ইবাদত-বন্দেগি, হালাল-হারাম পথের সন্ধান সে করে হারাম বাদ দিয়ে হালাল উপার্জন করার শক্তি তার দেহের থাকে। এ সময় আল্লাহর দীনের পথে অগ্রসর হলে তার ফলাফল অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে। বাতিল শক্তি তখন ভয় পায়। এজন্য নবী কারিম (সা.)-এর সঙ্গী-সাথীদের প্রায় সবাই ছিলেন যুবক। এ যুবকরাই গোটা জাতির কঠিন বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও ইসলামের সততা ও ন্যায়পরায়ণতা সমর্থন করেছিলেন। অন্যায়-অত্যাচারের প্রবল তুফানের মধ্যে যাদের বক্ষদেশ ইসলামের জন্য ঢাল হয়েছিল।

 

কোরআন মাজিদে আসহাবে কাহাফের যুবকদের কথা আল্লাহতায়ালা উল্লেখ করে পরবর্তী সময়ের যুবকদের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। ইমান রক্ষা করার জন্য তারা কীভাবে চেষ্টা করেছিল। যখন তারা সাচ্চা দিলে ইমান আনল, তখন আল্লাহ তাদের সঠিক পথে চলার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিলেন। তাদের ন্যায় ও সত্যের ওপর অবিচল থাকার সুযোগ দিলেন। তারা নিজেদের বিপদের মুখে ঠেলে দেবে, কিন্তু বাতিলের কাছে মাথা নত করবে না। শিরক ও কুসংস্কারে ভারাক্রান্ত এ পরিবেশে আল্লাহ বিশ্বাসীরা যে অবস্থায় সম্মুখীন হচ্ছিলেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top